২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে তিনদিনের সফরে দিল্লি এসে পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। রবিবার ভারতীয় সময় সকাল পৌঁনে দশটা নাগাদ রাষ্ট্রপতির এয়ারফোর্স ওয়ান বিমান দিল্লির পালাম বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়। বিমানবন্দরে সস্ত্রীক ওবামাকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একসময় ওবামাকে জড়িয়ে ধরেন মোদি।
রাষ্ট্রপতির সফর সঙ্গী ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মার্কিন আইনসভা ও বণিকমহলের প্রতিনিধিরা। বিমানবন্দরে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী পিযুষ গোয়েল। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পথে গণমাধ্যম কর্মীদের দিকে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান ওবামা।
বিমানবন্দর থেকে বারাক ওবামা সোজা চলে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে সস্ত্রীক ওবামাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ রাষ্ট্রপতিভবন থেকে সস্ত্রীক ওবামা চলে যাবেন রাজঘাটে ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন ওবামা। যোগ দেবেন একটি বৃক্ষরোপণ উৎসবেও।
দুপুরেই দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে মধ্যাহ্ন ভোজের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন ওবামা। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। ভারতে থাকাকালীন দিল্লির আইসিটি মৌর্য শেরাটন হোটেলে থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সন্ধ্যায় হোটেলেই ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং তাদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন তিনি। এরপর চলে যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্মানে আজ রাতেই থাকছে নৈশভোজের আয়োজন।
আগামীকাল সকালে দিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রের প্রধান। প্রথা ভেঙেই প্রায় দুই ঘন্টা খোলা আকাশের নিচে থাকবেন তিনি। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষে আবারও যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বিকেলে মৌর্য শেরাটন হোটেলে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
২৭ তারিখ সকালে দিল্লির সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে নির্দিষ্ট সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সামনে একটি বিশেষ সেমিনারে বক্তব্য রাখবেন ওবামা। ওইদিন রেডিওতে মন কি বাত অনুষ্ঠানেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বক্তৃতা দেবেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষ করেই সৌদি আরবের উদ্যেশ্যে রওনা দেবেন মার্কিন প্রেসেডিন্ট।
উল্লেখ্য, ওবামা হলেন প্রথম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যিনি নিজের কার্যকালের মেয়াদে দুইবার ভারত সফর করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে দিল্লি জুড়ে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মোড়া থাকছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর।
Leave a Reply